উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের মধ্যে প্রধান নদনদীর পানি বেড়েই চলছে। তাই দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। রোববার (২২ আগস্ট) সকালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের পাঁচটি নদীর পানি আটটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদনদীর অবস্থা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। নদনদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে, এই ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম এবং মধ্যাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ও ধলেশ্বরী নদী এলাসিন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, পাঁচটি নদীর পানি আটটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি জানান, ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে দুই সেন্টিমিটার, মথুরা পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘এছাড়া আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমা পার হয়েছে। সেখানে পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কামারখালী পয়েন্টে গড়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।’ গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার ও সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পদ্মা নদীর পানি বইছে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।